ফাস্টফুডের
দোকানে গিয়ে সবচাইতে বেশি
কোন খাবারটা খাওয়া হয়? নিঃসন্দেহে
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। বাড়িতেও
তৈরি হয় হরহামেশাই।
কিন্তু বাড়িতে তৈরি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
গুলো রেস্তরাঁর মতন মজাদার হয়
না কেন? রেস্তোরাঁয় এমন
কি করা হয় যে
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গুলো হয়
এমন মুচমুচে আর মজাদার?
সত্যি
কথাটা হলো, বিশেষ কিছুই
কিন্তু করা হয় না। কেবল
ভাজা হয় সঠিক উপায়ে। অনেকে
বলবেন ২ বার ভাজতে
হবে, অনেকে বলবেন ৩
বার। কেউ
বলবেন সিদ্ধ করে নিতে
হবে, কেউ বলবেন মসলা
মাখাতে হবে। আসলে
করতে হবে না এগুলোর
কিছুই। বরং
বাড়তি কোনো যন্ত্রণা ছাড়াই
খুব সহজে তৈরি করতে
পারবেন রেস্তোরাঁর মতন সুস্বাদু ফ্রেঞ্চ
ফ্রাই। বাইরে
হবে মুচমুচে, ভেতরে চমৎকার মোলায়েম। আর
লবণটাও হবে একদম ঠিক
মাপে। কি
করে? আসুন, জেনে নেই
রেসিপি।
উপকরণ-
- আলু- আধা কেজি
- তেল- এক লিটার (পুনরায় ব্যবহার যোগ্য)
- পানি- ১ টেবিল চামচ
- লবণ- ১/২ চা চামচ
- বিট লবণ- স্বাদ মত
- সাদা গোল মরিচ- স্বাদ মত
প্রস্তুত প্রণালী-
- মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজার প্রথম শর্ত হচ্ছে একে ডুবো তেলে ভাজা। অল্প তেল হলে চিপস এমনিতেই গায়ে গায়ে লেগে যাবে ও মুচমুচে হবে। তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজতে গেলে যেহেতু তেল পোড়ে না, এই তেল আপনি রেখে দিতে পারেন বয়ামে এবং ফ্রেঞ্চ ভাজতে হলেই এই তেলে ভাজবেন। কিংবা ব্যবহার করতে পারেন অন্য ভাজাতেও। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজায় যে তেল পুড়ে যায় না, সেটা ভাজার পরেও তেলের পরিষ্কার রঙ দেখেই নিশ্চিত হতে পারবেন।
- আলুকে কেটে নিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে। লক্ষ্য রাখুন সব গুলো চিপস যেন কমবেশি একই আকারের হয়। এতে সুন্দর সিদ্ধ হবে।
- কাটা হলে আলুকে কমপক্ষে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানি ফেলে ভালো করে আরও ২/৩ বার ধুয়ে নিন ও ঝাঁঝরিতে পানি ঝরতে দিন। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে আলু ধোয়ার পর সাদাটে রঙের পানি বের হয়। এটা হচ্ছে আলুর বাড়তি স্টার্চ, একে ধুয়ে না ফেললে চিপস আঠালো ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাবে। চিপসকে মুচমুচে করার এটা হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
- তেলকে মাঝারি আঁচে আগুন গরম করে নিন। তারপর পানি ঝরানো আলু দিয়ে দিন তেলে এবং ভাজা হতে দিন। আঁচ মাঝারির চাইতে একটু বেশি রাখুন। আলুকে সিদ্ধ করার যন্ত্রণায় একেবারে যেতে হবে না।
- মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। ডুবো তেলে থাকলে অবশ্য প্রয়োজন নেই। চিপস যখন সোনালি রঙ ধরতে শুরু করবে, তখন ১ টেবিল চামচ পানিতে হাফ চা চামচ লবণ গুলিয়ে চিপসের মাঝে ছড়িয়ে দিন। হ্যাঁ, লবণ গোলানো পানি তেলে দিতে হবে। ভয়ের কিছুই নেই, ছিটবে না। এতে নিখুঁত লবন্সের স্বাদ আসবে চিপসে, একেবারে সমান ভাবে। লবণ খেতে না চাইলে এভাবে দিবেন না।
- বিট লবণ ও গোল মরিচ এক সাথে মিশিয়ে রাখুন। এটাও চাইলে পরিহার করতে পারেন। চিপস কে সোনালি লাল করে ভেজে নিন, ঝাঁঝরি দিয়ে ভালো ছেঁকে তেল থেকে তুলুন। টিস্যুর ওপরে রেখে বিট লবণ ও গোল মরিচ দিয়ে একটু টস করুন।
ব্যস,
তৈরি আপনার "পারফেক্ট" ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।